এসিড, ক্ষার ও লবণ
Acid, Alkali & Salt
এসিড (Acid)
যদি কোনো যৌগের অণুতে এক বা একাধিক প্রতিস্থাপিনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং ১ প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু কোনো ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল কোনো যৌগমূল দাস আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত করা যায় এবং যা ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে, তাকে অম্ল বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে যৌগ বা আয়ন অন্য পদার্থকে প্রোটন দান করতে পারে, তাকে অম্ল বলে। উদাহরণ: সালফিউরিক এসিড (H2SO4), নাইট্রিক এসিড (HNO3) ইত্যাদি। এসিড সাধারণত টকস্বাদযুক্ত হয়ে থাকে।
ক্ষারক ও ক্ষার (Base & Alkali)
ধাতুর অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইডকে ক্ষারক বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে যৌগ বা আয়ন অম্ল হতে প্রোটন গ্রহণ করতে পারে, তাই ক্ষারক। উদাহরণ: সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), ক্যালসিয়াম অক্সাইড ((CaO), ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (MgOH) প্রভৃতি। অধিকাংশ ক্ষারকই পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যে সকল ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয়, তাকে ক্ষার বলে। উদাহরণ: সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) ইত্যাদি।
লবণ (Salt)
এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় যে নিরপেক্ষ পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাকে লবণ বলে। যেমন; সোডিয়াম কোরাইড (NaCl), পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO,) প্রভৃতি।
HNO3 (এসিড) + KOH (ক্ষার) = KNO3 (লবণ) + H2O (পানি
সাইট্রিক এসিড
অক্সালিক এসিড
ম্যালিক এসিড
অ্যাসিটিক এসিড
আমলকিতে পাওয়া যায়
কমলালেবুতে পাওয়া যায়
আঙ্গুরে পাওয়া যায়
টমেটোতে পাওয়া যায়
এসিড (Acid)
যদি কোনো যৌগের অণুতে এক বা একাধিক প্রতিস্থাপিনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং ১ প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু কোনো ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল কোনো যৌগমূল দাস আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত করা যায় এবং যা ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে, তাকে অম্ল বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে যৌগ বা আয়ন অন্য পদার্থকে প্রোটন দান করতে পারে, তাকে অম্ল বলে। উদাহরণ: সালফিউরিক এসিড (H2SO4), নাইট্রিক এসিড (HNO3) ইত্যাদি। এসিড সাধারণত টকস্বাদযুক্ত হয়ে থাকে।
আমলকিতে পাওয়া যায়
কমলালেবুতে পাওয়া যায়
আঙ্গুরে পাওয়া যায়
টমেটোতে পাওয়া যায়
ক্ষারক ও ক্ষার (Base & Alkali)
ধাতুর অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইডকে ক্ষারক বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে যৌগ বা আয়ন অম্ল হতে প্রোটন গ্রহণ করতে পারে, তাই ক্ষারক। উদাহরণ: সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), ক্যালসিয়াম অক্সাইড ((CaO), ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (MgOH) প্রভৃতি। অধিকাংশ ক্ষারকই পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যে সকল ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয়, তাকে ক্ষার বলে। উদাহরণ: সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) ইত্যাদি।
লবণ (Salt)
এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় যে নিরপেক্ষ পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাকে লবণ বলে। যেমন; সোডিয়াম কোরাইড (NaCl), পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO,) প্রভৃতি।
HNO3 (এসিড) + KOH (ক্ষার) = KNO3 (লবণ) + H2O (পানি
কৃত্রিম সার প্রয়োগ
পানি সেচ
মাটিতে নাইট্রোজেন ধরে রাখা
প্রাকৃতিক গ্যাস প্রয়োগ
পানির খরতা
খর পানি (Hard Water) : যে পানি সাবানের সাথে সহজে ফেনা উৎপন্ন করে না, অনেক সাবান খরচ করার পর ফেনা উৎপন্ন করে, তাকে খর পানি (Hard Water) বলে। খর পানিতে সাবান ফেনা না দিলেও ডিটারজেন্ট উত্তম ফেনা দেয়। পানির খরতা দুই প্রকার। যথা:
ক) অস্থায়ী খরতা: পানিতে ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামের বাইকার্বনেট (HCO3–) লবণ দ্রবীভূত থাকে।
খ) স্থায়ী খরতা: পানিতে ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামের সালফেট (SO4- -) বা ক্লোরাইড (Cl-)। লবণ দ্রবীভূত থাকে।
পানির ক্ষরতা দূরীকরণের উপায়
দূরীকরণ পদ্ধতি
বৈশিষ্ট্য
ফুটানো
শুধু অস্থায়ী খরতা দূর করা যায়।
পারমুটিট পদ্ধতি
স্থায়ী ও অস্থায়ী খরতা দূর করা যায়।
সোডা পদ্ধতি
স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় প্রকার খরতা কাপড় কাচা সোডা (Na,CO) এর সাহায্যে দূর করা যায়।
খর পানি ব্যবহার করলে কারখানার বয়লারে, মোটর গাড়ির শীতক প্রকোষ্ঠে ও কেতলীর তলায় অদ্রবণীয় ও তাপ অপরিবাহী ক্যালসিয়াম কার্বনেট (Ca2CO3), ক্যালসিয়াম সালফেট (CaSO4) প্রভৃতি লবণের আবরণ পড়ে। বয়লারের গায়ে অদ্রবণীয় লবণের স্তর পড়ার কারণে বয়লারের তাপ পরিবাহিতা কমে যায়। ফলে জ্বালানি অপচয় ঘটে।